JOURNEY TO BALASORE
khumkut dam and three Mephistopheles |
কলকাতা থেকে মাত্র 3- 3.30 ঘন্টা দূরত্বে পাহাড়- জঙ্গল ও পায়ের তলায় মিহি বালির স্পর্শ পেতে বেরিয়ে পড়ুন উড়িষ্যার বালাসোরের উদ্দেশ্যে।এই শহর কে কেন্দ্র করেই আপনি পাবেন,-
- চাঁদিপুরের সৈকত,
- পঞ্চলিঙ্গেশ্বরের মন্দির সহ পাহাড়, এবং
- দেবকুন্ড ও
- কুলডিহার মতো রহস্যময়ী জঙ্গল।
CHANDIPUR
বালাসোরের অন্যান্য আকর্ষনগুলির মধ্যে পড়বে ,-STEPS OF PANCHALINGESHAWR
- ইমামী জগন্নাথ মন্দির,💣
- রাধাকৃষ্ণ মন্দির, 💣
- ক্ষীরাচূড়া গোপীনাথ মন্দির। 💣 এছাড়া পঞ্চলিঙ্গেশ্বর যাওয়ার পথে পাবেন,-
- নীলগিরি রাজবাড়ি এবং চাইলে
- খূমকুট ড্যামের মতো আদিবাসী অধ্যুষিত স্থানের সৌন্দর্য উপভোগ করে নিতে পারেন।
EMAMI TEMPLE
NILGIRI RAJBARI
এই টিলা সমৃদ্ধ পঞ্চলিঙ্গেশ্বর স্থান টি এক-দুদিনের জন্য আপনার মন ভোলাতে বাধ্য। এখান থেকেই আপনি গাড়িতে ঘুরে নিতে পারেন দেবকুন্ড এবং কুলডিহার জঙ্গল।
★কীভাবে যাবেন
ফলকণামার window seat |
ফলকনামা,ধৌলির মতো যে কোনো ট্রেনে করে বালাসোর পৌঁছে যাবেন।এখানের হোটেল গুলির মোটামুটি প্যাকেজে আপনি গাড়ি করে ঘুরে নিতে পারেন আশেপাশের জায়গাগুলি(ইমামী জগন্নাথ,চাঁদিপুর,রাধাকৃষ্ণ মন্দির,ক্ষীরাচূড়া গোপীনাথ), এছাড়াও স্টেশন চত্বর থেকে রিজার্ভের অটো করেও যাওয়া যাবে। অটো খুব বেশি হলেও 1000 টাকার বেশি নেবে না।
পঞ্চলিঙ্গেশ্বর যেতেও আপনাকে অটো বা গাড়ি করতে হবে।পথে খূমকুট ড্যাম আর নীলগিরি রাজবাড়ি দেখে নিয়ে অটো আপনাকে 1000 টাকার ভিতর পৌঁছে দেবে।
পঞ্চলিঙ্গেশ্বর থেকে আপনি হোটেলে বললেই প্রত্যেকের কাছেই কুলডিহা,দেবকুন্ড যাওয়ার প্যাকেজ থাকে,আপনি আপনার পছন্দমতো বেছে নিতে পারেন।
★কোথায় থাকবেন
A) বালাসোরে স্টেশনের পাশ থেকে সারি দিয়ে হোটেলগুলি আপনার জন্য অপেক্ষা করে আছে,যাদের নিজস্ব রেস্টুরেন্টও পাবেন। তবে স্টেশন চত্বরে বাঙালি স্বাদের খাওয়ার জন্য কালিকা আর আদর্শ হোটেলের জুড়ি মেলা ভার। এগুলিতে আপনি 70/80 টাকা তেই পেট পুরে খেতে পারবেন।এছাড়া পুরো O.T রোড জুড়েই (স্টেশনের সামনে থেকেই যেটা শুরু হয়ে শহরের কেন্দ্রে পৌঁছেছে)
আপনি অজস্র মুখোরোচক ফাস্টফুডের স্টল পাবেন।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চাঁদিপুর, বালাসোর থেকে 16 কি.মি,গাড়িতে আধঘন্টার বেশি লাগবে না,তাই এখানে সমুদ্রের ধারে থাকতে চাইলেও আপনার জন্য পসরা সাজিয়ে রেখেছে OTDC পান্থনিবাস সহ বেশ কিছু প্রাইভেট হোটেল।
B) পঞ্চলিঙ্গেশ্বরে আপনি যদি শকুন্তলা নিবাস অথবা OTDC এর পান্থনিবাসে থাকেন তাহলে খাওয়া নিয়ে আপনাকে কোনো চিন্তা করতে হবে না। সুলভ মূল্যে পেয়ে যাবেন পছন্দসই বাঙালি খাবার।
C) কুলডিহার জঙ্গলের আলাদা করে রসাস্বাদন করতে হলে এখানের রিশিয়া নেচার ক্যাম্পে একটা রাত আপনি কাটাতেই পারেন।
★দর্শনীয় স্থান
[CLICK THE 💣 ICON FOR RESPECTIVE PHOTO GALLERY AND MORE DETAILS ]
- চাঁদিপুরের সৈকত, 💣.
[ [CLICK THE 💣 ICON FOR RESPECTIVE PHOTO GALLERY AND MORE DETAILS ]]
#চাঁদিপুরের সৈকত এক অদ্ভুত সৈকত হিসাবে পরিচিত।এখানে ভাটার সময় সমুদ্র পিছিয়ে যায় দিনে দুবার প্রায় 3 থেকে 5 কি.মি পর্যন্ত। আবার জোয়ারের প্রাবল্য তাকে আবার তীরের কাছে নিয়ে আসে। চাঁদিপুরের কাছে বুড়িবালাম নদীর মোহনায় বাঘাযতীনের ইতিহাস এক আশ্চর্য বৈপ্লবিক রেশ রেখে যাবে আপনার মনে।
- ইমামী জগন্নাথ মন্দির,💣
[[CLICK THE 💣 ICON FOR RESPECTIVE PHOTO GALLERY AND MORE DETAILS ]]
#ইমামী জগন্নাথ মন্দিরের কথা বলতে গেলে এটিকে এক কথায় পুরীর আসল জগন্নাথ মন্দিরের মিনিয়েচার বলা চলে যা ইমামী কোম্পানির তৈরি।অপরূপ স্থাপত্য শৈলীর পাশাপাশি মন্দিরটির মোহময়ী সন্ধ্যা আরতি ও পরিচ্ছনতার জন্য বাহবা না দিলেই নয়।
- রাধাকৃষ্ণ মন্দির, 💣
CLICK THE 💣 ICON FOR RESPECTIVE PHOTO GALLERY AND MORE DETAILS
#রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের জলাশয়ে রঙ-বেরঙের মাছ আপনাকে বেশখানিকটা সময় আবিষ্ট করে রাখবে।এই মন্দির সংলগ্ন পার্কে কিছুটা সময় কাটিয়ে অল্প কিছুক্ষন অতিরিক্ত সময় ধার্য করে ক্ষীরাচূড়া গোপীনাথ মন্দিরটিও চাক্ষুষ করে নিতে পারেন।
- নীলগিরি শহর ও রাড়রাজবাড়ি 💣
বর্তমানে রাজবাড়ির জৌলুস একেবারেই নেই। বালাসোর ভ্রমণে গেলে অনেকেই প্যাকেজে এটা দেখে নেয়, যদিও সত্যি বলতে গেলে , সময় নষ্ট করে এখানে না গিয়ে ট্রিপের অন্যান্য দর্শনীয় স্থনে বেশি সময় দেয়ার কথা আমাদের মেফিস্টফিলিস টিমের বার বার মনে হয়েছে। তোমাদের জন্যে তাই আমরা পুরো রাজবাড়ির ভিডিও করে এনেছি, দেখে নিজেরাই বিচার করে নিয় এর জন্যে বাড়ি থেকে ২০০-৩০০ কিমি দূরে গিয়ে একবেলা সময় কাটনো যায় কিনা ।
মনে রাখবে রাজবরড়ি অভ্যন্তরে আবাসন সুবিধা পাওয়া যায় না। পর্যটকরা এই ঐতিহাসিক স্থানটি দেখতে পারেন। এই রয়েল প্যালেসের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এটি রক্ষণাবেক্ষণাধীন। এই জায়গাটি দেখার জন্য কোনও প্রবেশ ফি প্রয়োজন নেই ।- পঞ্চলিঙ্গেশ্বরের মন্দির সহ পাহাড়💣
[CLICK THE 💣 ICON FOR RESPECTIVE PHOTO GALLERY AND MORE DETAILS
বর্তমানে রাজবাড়ির জৌলুস একেবারেই নেই। বালাসোর ভ্রমণে গেলে অনেকেই প্যাকেজে এটা দেখে নেয়, যদিও সত্যি বলতে গেলে , সময় নষ্ট করে এখানে না গিয়ে ট্রিপের অন্যান্য দর্শনীয় স্থনে বেশি সময় দেয়ার কথা আমাদের মেফিস্টফিলিস টিমের বার বার মনে হয়েছে। তোমাদের জন্যে তাই আমরা পুরো রাজবাড়ির ভিডিও করে এনেছি, দেখে নিজেরাই বিচার করে নিয় এর জন্যে বাড়ি থেকে ২০০-৩০০ কিমি দূরে গিয়ে একবেলা সময় কাটনো যায় কিনা ।
মনে রাখবে রাজবরড়ি অভ্যন্তরে আবাসন সুবিধা পাওয়া যায় না। পর্যটকরা এই ঐতিহাসিক স্থানটি দেখতে পারেন। এই রয়েল প্যালেসের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এটি রক্ষণাবেক্ষণাধীন। এই জায়গাটি দেখার জন্য কোনও প্রবেশ ফি প্রয়োজন নেই ।
#পঞ্চলিঙ্গেশ্বরে আছে নীলগিরি বা নীলাগিরি পাহাড়ের মাথায় এক শিব মন্দির,যা বেশ কতগুলি সিঁড়ি ও চড়াই অতিক্রম করে পৌঁছাতে হয়,কিন্তু একদমই কষ্টসাধ্য নয়,পথে আপনি অনেক বিশ্রামের স্থান পাবেন।পাহাড়ি ধারার জলের নীচে শিবলিঙ্গ দৃশ্যমান না হলেও আপনি স্নানের সময় তা হাত দিয়ে স্পর্শ করতে পারবেন।পাহাড়ের উপর থেকে দৃশ্যমান সবুজ সত্যিই মনমুগ্ধকর।বালাসোর থেকে পঞ্চলিঙ্গেশ্বর যাওয়ার পথে গাড়িওয়ালা কে বললে খূমকুট ড্যামটি দেখিয়ে দেবে,যা একটি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।
- কুলডিহার মতো রহস্যময়ী জঙ্গল।💣
[CLICK THE 💣 ICON FOR RESPECTIVE PHOTO GALLERY AND MORE DETAILS
#কুলডিহার জঙ্গলে বাঘ, হাতি,হরিণ ছাড়াও পাবেন ভালুক,সজারু,গাউর, বিভিন্ন সরীসৃপ ও বিচিত্র প্রজাতির চেনা-অচেনা পাখি ;যাদের কন্ঠস্বর কখনো ভীতি তো কখনো উত্তেজনার সঞ্চার করবে।
- দেবকুন্ড 💣
[CLICK THE 💣 ICON FOR RESPECTIVE PHOTO GALLERY AND MORE DETAILS
#দেবকুন্ড স্থানটি কুলডিহা থেকে 69 কি,মি দূরত্বে,যেখানে পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাত 5 টি কুন্ড সৃষ্টি করেছে,যার সব থেকে নীচের কুন্ডটিই হলো দেবকুন্ড।এই কুন্ডের পাশ দিয়ে 100 সিঁড়ি অতিক্রম করে পৌঁছে যাওয়া যায় অম্বিকামাতার মন্দিরে।তাই এখানে জঙ্গলের কোলে পেতে পারেন পাহাড় পরিবেষ্টিত এক দৈবিক অনুভূতি।
তাহলে আর দেরি না করে ইচ্ছেডানায় ভর করে বেড়িয়ে আসুন স্বল্প দূরত্বের এই বিশেষ পর্যটন ক্ষেত্রে।
Comments
Post a Comment