Posts

Showing posts from May, 2020

রাসবিহারী বসু- The Unsung Hero

Image
- তুমি ইতিহাস শিক্ষকের গায়ে কালি ঢেলে দিয়েছ কেন ? ডুপ্লে কলেজের প্রিন্সিপ্যাল চারুচন্দ্র রায় খুব গম্ভীর ভাবে জিজ্ঞেস করলেন। সামনে দাঁড়ানো অপরাধী ছাত্রটির মুখ নিচু হলেও উদ্ধত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। জামার সামনের কিছু বোতাম খোলা; দেখা যাচ্ছে বুকের পাটা, চওড়া কাঁধ, কব্জি থেকে শক্তপোক্ত আঙুল .. ঠাকুরদার কাছে লাঠি চালানো অভ্যাস করে পেটান চেহারা, দেখতে বয়সের থেকে একটু বড় লাগে। - উনি স্যার আমাকে রাসভ বলেন কেন ? অবাক হয়ে চারুচন্দ্র রায় জিজ্ঞেস করেন - ক্লাসে এত ছেলে থাকতে তোমার নামটাই বা উনি এমন ডাকেন কেন ? - না স্যার এটা ওঁর স্বভাব। সব ছাত্রের নাম বিকৃত করে কাউকে মর্কট, কাউকে বাঁদরেন্দ্র, কাউকে কেন্নো এইসব ডাকেন। - তা বলে তুমি ওনার গায়ে কালি দেবে ? - শুধু তাই নয়, উনি অপমান করে বলেছেন বাঙালীরা ভেরুয়া, বকতিয়ার খিলজি মাত্র সতেরো জন অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে এদেশ জয় করেছিল .. এ কি বিশ্বাসযোগ্য স্যার ? তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে চারুচন্দ্র রায় তাকিয়ে থাকেন ছাত্রটির দিকে .. বলেন - এটাই তো ইতিহাস বইতে লেখা আছে। - ও তো স্যার যারা জিতেছিল তাদের লেখা ইতিহাস। আরো অবাক হয়ে স্যার জিজ্ঞেস করেন - তুমি রমেশচন্দ্র দ

ফ্ল্যাট রহস্য - কেস নম্বর ২০

Image
ফ্ল্যাট রহস্য - কেস নম্বর ২০ লেখা- সুবর্ণা মান্না সন্ধ্যে হবে হবে করছে, নীলাঞ্জনাদেবী ড্রইং রুমে বসে টিভি দেখছেন। এমন সময় হঠাৎই তার মনে হল রান্না ঘর থেকে হাঁটা-চলা, বাসন নাড়াচাড়ার শব্দ আসছে। স্বামী রুদ্রবাবু বাইরে, দোকানে গেছেন। এখনো ফেরেননি, সদর দরজা বন্ধ। তার একমাত্র ছেলে ভিন রাজ্যে পড়াশোনা করছে। সুতরাং নতুন কেনা ফ্ল্যাটটিতে এই মুহূর্তে তিনি একা। রান্না ঘরে তবে কীসের আওয়াজ? নীলাঞ্জনাদেবী এমনিতে সাহসী, সহজে ভয় পান না। উঠে দেখতে গেলেন রান্নাঘরে। যত এগোচ্ছেন শব্দটি যেন ততই প্রকট হচ্ছে, রান্নাঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে  উঁকি মারলেন ভেতরে। না, কোনো শব্দ নেই এখন। একটা অদ্ভুত নিস্তব্ধতা যেন ঘিরে ধরেছে তার চারপাশে। হঠাৎ নিস্তব্ধতার বুক চিরে, কলিং বেলের তীক্ষ্ণ আওয়াজে  নীলাঞ্জনাদেবীর ঘোর কাটল। দৌড়ে গিয়ে সদর দরজা খুলে সব ঘটনা বললেন  রুদ্রবাবুকে।  রুদ্রবাবু বিস্মিত হলেন না। আসলে এরকম ঘটনা এ বাড়িতে আসার পর অনেকবার লক্ষ্য করেছেন তিনি নিজেও। প্রয়োজনীয় জিনিস এক জায়গায় রাখলে অন্য জায়গায় খুঁজে পাচ্ছেন, কখনো এঘরে কখনো ওঘরে টুকটাক, ফিসফাস আওয়াজ..। আবার, সামনে রাখা জিনিস উধাও হয়ে কিছুদিন পর তা খুঁজ

একটা আস্ত পাঠা এবং ৫০ টা আম

Image
সকালবেলা কুস্তি লড়তেন। কুস্তির আগে শরীর ঝরঝরে করতে মুগুর ভাঁজতেন। তারপরে ল্যাঙোট পড়ে পালোয়ান দিয়ে তেলমালিশ। এক জায়গায় বসে উড়িয়ে দিতেন গোটা পাঁঠা। তারপরেও খেতে পারতেন পঞ্চাশটা আম। এক কাঁদি নারকেল আর বারো সের দুধ। হিন্দু ধর্মের পৌত্তলিকতা ও মৌলবাদী চিন্তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন যখন, তখন তাঁকে দেওয়া হয়েছিল খুনের হুমকি। শুভানুধ্যায়ীরা বলতেন, 'একটু সাবধানে থাকবেন।' জবাবে তিনি হেসে বলতেন, 'ওই চালকলা খেয়ে থাকে যারা, তারা আমাকে মারবে! আমার শরীরে আঁচড় কাটার ক্ষমতাও ওদের নেই।'  ইসলামে গোঁড়ামির সমালোচনা করে প্রবন্ধ লিখে ইসলামী মৌলবাদীদেরও চক্ষুশূল হয়েছিলেন। একই সঙ্গে হিন্দু ও মুসলিম উভয় ধর্মের গোঁড়ামির মুখেই ঝামা ঘষে দিয়েছিলেন। সতী প্রথার অবসান ঘটিয়ে তিনি সমগ্র জাতির চক্ষুশূল হোয়েছিলেন, নারীশিক্ষার অগ্রগতিতে ও তার অবদান অনস্বীকার্য। আজকের নারী স্বাধীনতার যে দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাই, তার প্রথম দরজা তিনিই দিয়েছিলেন খুলে। যদিও আজকের নারীরা বিবিধ দেব দেবীদের খবর রাখলেও তাঁর সম্পর্কে খুব কমই জানে।   আর তাঁর জ্ঞানের কথা আমার প্রকাশ ও বিশ্লেষণ করার অধিকার নেই। আমরা একটি ভা

শহরতলির বিভীষিকা

Image
কলমে  শ্যামলিমা  কলকাতা সংলগ্ন শহরতলি বা গ্রামাঞ্চলে এলাকায় ঝড় মানে - আধ ঘণ্টা বাজ পড়বে, ভীষণ বৃষ্টি হবে, দুটো-পাঁচটা তার ছিঁড়বে, একটা পাড়ার পোস্ট ভেঙে পড়লে, - টর্চ নিয়ে সবাই এক হয়ে গিয়ে দিন রাত এক করে আলো আনার চেস্টা করবে।  তাও যদি কারো বাঁশ গাছে কারেন্টের তার ঠেকে থাকে অথবা পুকুরপাড়ের কোনো আমড়া গাছের ডালে তার প্যাঁচিয়ে গিয়ে থাকে তো হলো!  ঝড়-মাথা তেই ছাতা হাতে, বর্ষাতি সমেত গাছগুলো কাটতে যেত পাড়ার সব কাকুরা।৷  দুটো পাড়ার দুটো আলাদা ফেজ থাকলে দৌড়ে গিয়ে একজন আলো এলো নাকি খোঁজ নিয়ে আসতো,  অথবা মাঝে পুকুর থাকলে এক পাড়ার কাকু বাবার নাম ধরে জিজ্ঞেস করতো- 'কি রে  তোদের আলো এলো?' অথবা দূর ল্যাম্পপোস্টটা কে মার্ক করে সবাই বুঝে নিত আজ আলো আসবে কিনা? পাশের বাড়ির মেয়েটির পড়ার ঘরের একটাই টিউবলাইট জ্বলছে কিনা সেটা দেখে বোঝা যেত, - আমার বাড়িরই ফিউজ উড়েছে? নাকি,গোটা পাড়াই আজ ভোগে গেছে। পোস্টের মাথায় সাদা টর্চের আলো দেখে তাকে তাকে থাকা হতো,  যে ঐ সাপ্লাই এর লোক এল নাকি? মাটির ঘরের ছোটো ছেলেটাও জানলা ধরে বসে থাকতো সামনে হ্যারিকেন নিয়ে। কারুর একটা ছোটো ঘরে জ্বলতো একটা ইমারজেন্সি লাইট

THE ADVENTURE OF MEPHISTOPHELES

Image
The  symbol is an eye with three triangles above it and a big tear. The meaning of this symbol is rather confusing, although it can be interpreted that the eye is a symbol of truth.The three triangles may symbolize the mystery, companionship and fearless nature On the other hand Mephistopheles  is one of 7 demon of Medieval Demonology!  It is said that, Mr.  Faust, the protagonist of a classic German legend, based on the historical Johann Georg Faust (c. 1480–1540), is bored and depressed with his life as a scholar. After an attempt to take his own life, he calls on the Devil for further knowledge and magic powers with which to indulge all the pleasure and knowledge of the world. In response, the Devil's representative, Mephistopheles, appears. He makes a bargain with Faust: Mephistopheles will serve Faust with his magic powers for a set number of years, but at the end of the term, the Devil will claim Faust's soul, and Faust will be eternally enslaved.  So Our symb

The Super Cyclone (Orissa, 1999) - the diary of A small boy

Image
The Super Cyclone (Orissa, 1999) credit- WiKi by Sayak Roy Choudhury, Class II C Have you seen a big banyan tree sliding down the road? I have seen it in Bhubaneswar. One fine morning we took a train from Howrah to go to Bhubaneswar. At lunchtime we reached there. We had food and took some rest. In the evening we went for a walk. We went to a STD booth to call my granny and inform her that we reached Bhubaneswar safely. We heard from her that a super-cyclone is coming towards Orissa, but  (we) did not feel anything. Early next morning while I was lying on the bed, my father informed that the storm has reached Bhubaneswar. Sometime later when I went to the hotel corridor, I saw the storm. Every minute the storm was growing faster. Many trees were breaking. Lamp(-p)osts were uprooted. Window glasses and advertisement boards were flying all over. Huge trees were sliding down the road. I thought (that the) trees were walking. Suddenly there was a power cut. Then the telephone and the cable

বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য এবং ভূতুড়ে রাত্রিযাপন

Image
বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য প্রবেশদ্বার উত্তর 24 পরগনার অন্যতম সৌন্দর্য বলতে বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য তথা পারমাদান।পাখি দেখার পাশাপাশি,পিকনিক করা,নৌকা ভ্রমন,নীলকুঠির ছমছমে রহস্যময়তা এক অদ্ভূত মেলবন্ধন সৃষ্টি করে। courtesy  izifiso  facebook page ইছামতীর পাড়ে হাওয়া খেতে খেতে এই অভয়ারণ্যটি পায়ে হেঁটে ঘুরে নেওয়া যায়,তা এমনি পিকনিক মেজাজেই হোক অথবা কাছাকাছি ডে-আউট হিসাবেই।চাইলে অরন্য দপ্তরের লজেও একটা দিন নির্ভেজাল কাটানো যায়,সেটার জন্য অবশ্যই আগে থেকে বন দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।তবে আপাতত সরকারি এই লজে বুকিং বন্ধ আছে।হরিণ,ময়ূর,মাছরাঙা,মৌটুসী দের নিয়ে অর্জুন,শিশু,তুঁত,বাঁশবনে ঘেরা ইছামতীর বুকে নৌকাভ্রমন আর ওপারে ভাঙা নীলকুঠির স্বাদ এক আলতো দিনে অন্য মাত্রা যোগ করে। এক ফালি ইছামতী এখন তো এই কুঠির পাড়ে রাতের বেলা  থাকা খাওয়া ও ক্যাম্পিংয়ের সুযোগ রয়েছে ,যাতে নদীর হাওয়ায় আপনার সাহসী মন কে রাতে একবার দুলিয়েও নিতে পারবেন।হাতে সময় থাকলে অরণ্য যাত্রার পাশাপাশি বনগাঁর পেট্রাপোল বর্ডারে বিকেলের কুচকাওয়াজেও সামিল হতে পারলে সত্যিই নিজেকে ধন্য বলে মনে হবে।বিকেল 4.30-5.30টার এই কুচকাওয়াজ এক অনন্য অভিজ্ঞতা সঞ