প্রাক বর্ষার 'বক্সা'
জঙ্গল-নদী-বৃষ্টি নিয়ে এক সাথে ভাবলেই মনটা কেমন দুম করে উত্তরবঙ্গগামী হয়ে ওঠে না?মনে হয় না, একবার ঐ নশ্বর শরীরটাকে প্রকৃতির গভীরতায় বেঁধে ফেলি?শুধু একটু টিকিট কাটার ঝক্কি,বাকিটা একটা ছোট্ট স্ক্রিনের উপর বুড়ো আঙুলের কারিকুরি। উত্তরবঙ্গ তো অনেকটা জায়গা, রাশি রাশি রসদ মজুত করা সেখানে। আজ তাহলে জঙ্গলের গালিচা পেরিয়ে, ইতিউতি প্রজাপতির পাখায় ভর করে এক চঞ্চলমতির ধারে গিয়ে বসা যাক। ওকে সবাই 'জয়ন্তী' নামেই চেনে, আর ওর জন্যই গ্রামটারও ঐ একই নাম। উত্তরবঙ্গের প্রবেশপথ শিলিগুড়ি থেকে ১৭৫ কিলোমিটার দূরে বক্সা পাহাড়ের পাদদেশে ৭৬০.৮৭ বর্গ কিলোমিটারের সংরক্ষিত বনভূমির ২৬৯ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বক্সার এই অভয়ারণ্য। জয়ন্তী, নিমাটি , ভুটান ঘাট, রাজাভাতখাওয়া, বক্সাদুয়ার সহ আরো কিছু বনাঞ্চল নিয়ে গঠিত বক্সা, টাইগার রিজার্ভ হিসাবে ঘোষিত হয় ১৯৮৩ সাল থেকে। আলিপুরদুয়ার থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে বক্সা জঙ্গলের ধারেই অবস্থিত 'ডুয়ার্সের রানী' জয়ন্তী। নদী সত্ত্বায় পরিপূর্ণ অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত এই গ্রাম। তার এই রূপ দেখতেই তো বর্ষার শুরুতে ওর কাছে আসা। আপন মনে গ্রামীন প্রকৃতিতে যখন নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছ